অনলাইন সীমাান্তবাণী ডেস্ক : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পুবের বিলের ৪৫৪ হেক্টর পতিত জমিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফসল ফলাতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে। এ বিল চলতি বছর ধান ও ফসলে ভরে উঠবে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সার্ভে করে পুবের বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প গ্রহনের সুপারিশ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক ড. অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, সার্ভের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প গ্রহণকরে বাস্তবায়ন করা হলে পুবের বিলের ৪৫৪ হেক্টর জলাবদ্ধ জমি চাষাবাদের আওতায় আসবে। এখানে বোরো ধানের আবাদ হলে অন্তত ২ হজার ২৭০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হবে। যার বাজার দর প্রায় ৯ কোটি টাকা। এছাড়া এখানে আরো প্রায় ৯ কোটি টাকার মাছ ও সবজি উৎপাদিত হবে। অমরা ইতিমধ্যে বিএডিসি ও পানিউন্নয়ন বোর্ডকে নিয়ে পরিকল্পনা সভা করেছি। এ সভার সিদ্ধান্ত ও সুপারিশমালা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেছি। এছাড়া ওই বিলে আমরা ধান সহ আনান্য ফসল উৎপাদনে কাজ শুরু করেছি।
কৃষি সম্প্রসারণের ভাসমান বেডে সবজি ও সমলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ এবং জনপ্রিয় করণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ বিশ^াস বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী ইউনিয়নের পুবের বিলের জলাবদ্ধ জমিতে কচুরিপানার ভাসমান বেডে সবজি চাষাবদ শুরু করেছি। এসব বেডে আগামী দেড় মাসের মধ্যে শশাসহ বিভিন্ন জাতের সবজি উৎপাদিত হবে। এরমধ্য দিয়ে কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, পুবের বিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৈতৃক জমি আছে। এ জমি বছরের অধিকাংশ সময় জলাবদ্ধ থাকে। গত ৩০ বছর ধরে এখানে চাষাবাদ হয়নি। তাই ওই বিলের জমিতে আমরা এ বছর ধান চাষ করতে বিশাল কর্মকান্ড শুরু করেছি। ৫ একরে ধানের চাষ হচ্ছে। ওই জমিতে কচুরিপানার ভাসমান বেডে সবজি চাষ শুরু হয়েছে। এছাড়া জমির আইলে আমরা সবজি রোপণ করে দিয়েছে। এ বিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পৈতৃক জমি পরিদর্শন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ভাসমান বেডে সবজি ও অন্যান্য ফসল চাষ করে এ জমিগুলি চাষাবাদের উপযোগী করে তোলার ব্যাপারে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।
Leave a Reply